প্রায় প্রতি শুক্রবারে নাওঈদ তার বাবার সাথে মসজিদে যায়। এই সময়টা তার জন্য বেশ উত্তেজনা কর। বেশ অনেকখানি হেঁটে গিয়ে দূরের মসজিদে যায়, আবার হেঁটে আসতে হয়। আজ ক্লান্ত হয়ে ডাব কিনে দেয়ার আবদার করেছে। ডাবের পানি খেয়ে বোনের জন্য ডাবের শাস ও নিয়ে আসছে।
বাসায় আসার সময় তাদের বাবা কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে আসছে। শুক্রবার দিনে সব সময় ভালো মন্দ কিছু না কিছু রান্না হয় অথবা হোটেল থেকে বিরানি , তেহারি টাইপের কিছু কিনে আনা হয়। সাথে কোল্ড ড্রিংকস তাই থাকতেই হয়।
বাচ্চাদের দাদা আসা উপলক্ষে আজ কিছু স্পেশাল ডিশ রান্না হয়েছে। ভাই বোন খেয়েদেয়ে আনন্দিত হয়ে নাওঈদ নায়রাকে বলছে, আপি, আজকের দিনটা বেশ ভালো গেল তাই না।!!??
বিকেলে দাদা সহ ঘুরতে গিয়ে হাবিজাবি কিনে নিয়ে আসছে। সন্ধ্যা য় দেখি আবার গাল ভরা হাসি দিয়ে গল্প করছে, আজকের দিনটা ভালো ছিল ❤️❤️❤️
আমরা শুনে খুব মজা পেলাম। কি সুন্দর, অল্পতে ওদের দিন ভালো চলে যায়। পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা….
বড় মানুষদের দিন ভালো যাওয়ার জন্য কত কিছু লাগে। ওমুক কি বলল, তমুক কি শোনালো, এটা কেন পেলাম না, সেটা কেন দিলাম না? আরো কতো কি!! অথচ আমাদের বেশিরভাগ কাজকর্ম পেট সংক্রান্ত। পেট সংক্রান্ত কাজের জন্যই আমরা জীবিকা অর্জনের নিয়তে ব্যস্ত থাকি। তাই পেট মোটামুটি ঠান্ডা থাকলে আমাদের আনন্দিত থাকার কথা ছিল। মাজলোর থিওরি ফলো না করলে আমরা সহজেই আনন্দিত হতে পারতাম হয়তো।
বাচ্চাদের মত সহজ থাকতে পারলে আনন্দিত হওয়াটা কঠিন কিছু না।
![](https://i0.wp.com/ishrat.xyz/wp-content/uploads/2021/02/img_20210219_1921415198631690379441601-768x1024.jpg?resize=768%2C1024&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/ishrat.xyz/wp-content/uploads/2021/02/IMG_20201227_141706-576x1024.jpg?resize=576%2C1024&ssl=1)