ইসলামে নারী

সমাজে নারী এবং পুরুষ দুজনেরই অনেক ভূমিকা রয়েছে। যদিও যুগে যুগে কালে কালে নারীদের অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়। এর প্রমাণ আমরা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রেই দেখতে পাই।

অথচ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নারী এবং পুরুষ প্রত্যেককে বিশেষ উদ্দেশ্যে এবং বিশেষ সম্মান দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

আমরা দেখি,‌ কুরআনে আল্লাহ বেশ কয়েকজন নারীর কথা উল্লেখ করেছেন।

ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া (রা:) এর কথা আল্লাহ কুরআনে বলেছেন। বলেছেন ইব্রাহিমের (আ:) এর স্ত্রীর ব্যাপারে। আরো বলেছেন, মুসা (আ:) এর মায়ের কথা, ঈসা (আ:) এর মা মারিয়াম আলাইহিস সালাম এর কথা, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু এর ব্যাপারে ও কুরআনে কথা বলেছেন। এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাছে একজন অনুযোগ করতে এসেছিলেন, তাকে নিয়ে কুরআনে পুরো একটা সূরাই আল্লাহ নাযিল করেছেন। যার নাম ‘সূরা আল মুজাদালাহ ‘।

মহানবী (সাঐ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বপ্রথম আল্লাহর ওহি নিয়ে প্রচার করতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী বিবি খাদিজা (রাঃ) এর কাছে। সর্বপ্রথম শহীদ হযরত সুমাইয়া আলাইহিস সাল্লাম।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হাদিস বর্ণনাকারী ব্যক্তির নাম হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’লা আনহু।

এভাবে আমরা অনেক অনেক মহিলা সাহাবীদের কথা জানতে পারি যারা এরকম সম্মানিত ছিলেন।

কতই না ভালো হতো, যদি আমাদের সমাজে এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের মা-বোনদের দেখা হতো, সম্মান দেয়া হতো!!

এই সম্মান পুরুষগণ তখনই দিতে পারবে যখন তারা ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানবে, মা বোনদের প্রতি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে বুঝতে পারবে। একই রকম ভাবে নারীরা ও নিজেদের তখনই সম্মানিত করতে পারবে যখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালার নির্ধারিত পথে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের প্রকৃত জ্ঞান জানার এবং আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন।