নুবাঈদ সারাদিন সুপার গ্লুর মতো লেগে থাকে। তাই অফিসিয়াল কাজ গুলো রাতে সে ঘুমানোর পর করা লাগে। তাদের বাবাকেও প্রায় রাত জেগে কাজ করা লাগে।
এদিকে নুবাঈদ একা বিছানায় এই মাথা ঐ মাথা ঘুরতে থাকে। আমরা একটু পর পর গিয়ে দেখে আসি। তার পজিশন ঠিক করে দেই। যেহেতু তার মম্মাকে খুঁজে পাচ্ছেনা, সে ঘুমের মধ্যেই নড়ে, উঠে বসে থাকে, কাঁদে…. এভাবে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আলু ফোলায়।
দুইদিন আগে পড়ে গিয়ে কপাল ফুলিয়েছে। আজো একই জায়গায় বাড়ি খেয়ে ডাবল আলু বানিয়ে রেখেছে।
ভাবছি এই বয়সে সারাক্ষণ মায়ের গায়ের সাথে লেগে থাকার কী আপ্রাণ চেষ্টা টাই না করে বাচ্চারা। বড় হতে হতে ততটাই আবার দূরে সরে যাবে। তখন মায়ের গায়ের সাথে লেগে থাকতে লজ্জা পাবে। ভাবতেই মনটা কেমন যেন করে ওঠে। বড় পুত্র নাওঈদকে জোর করে ধরে আদর করতে হয়। ওর নাকি লজ্জা লাগে!!!
ছোট পুত্র ও হয়ত কদিন পর ভাইয়ের মতো লজ্জা পেতে থাকবে…….
নুবাঈদের আলু
—
in যাপিত জীবন