মাওলানা নাওঈদ

দুপুরে আজান দিলেই মসজিদে যাবার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় বড় পুত্রের। নিজে নিজেই গোসল করে রেডি হয়ে মসজিদে চলে যায়। তার বাবা এখনো প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে যাচ্ছে না। তাই সে কারো জন্য অপেক্ষা না করে , কারো সাথে কোনো কথাবার্তা না বলে নিজে নিজেই প্রস্তুত হয়ে চলে যায়। টের ও পাই না কখন বাসা থেকে বের হয়!!! কি কাজে যেন বারান্দায় গিয়ে দেখলাম , তাকে মসজিদে দেখা যাচ্ছে। তাকে দেখে আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে খেতে ডাকলাম চিৎকার করে, এক্ষুনি বাসায় আসো।

তার মাস্কের ফিতা আবার ছিড়ে গেছে ওই সময়। তাই সে মাস্ক নিতে দৌড়ে আবার বাসায় আসলো। আমার ডাকে মসজিদ থেকে নামাজ শেষ না করে তো সে আসতোই না। বাসায় আসার পর হাসিতে গড়াগড়ি খেতে খেতে ছবি তুললাম। যদিও সে কোনভাবেই বুঝতে পারছিল না কেন এতো হাসাহাসি কেন হচ্ছে!!

মাস্ক নিয়ে আবার দৌড় দিতে লাগল। চিপে ধরে প্যান্ট পাল্টাতে পাল্টাতে বেচারার জোহরের জামাত শেষ হয়ে গেল। পরের জামাতে আর এই ভুল আর হয়নি।

আমাদের মাওলানা নাওঈদ আব্দুল্লাহ।