মুরগি ছানা

পুত্র কন্যা জান দিয়ে ফেলছে ওদেরকে বিড়াল এনে দেওয়ার জন্য। নায়রাকে বললাম, যখন তুমি ওদের রান্না করে খাওয়াবা এবং ওদের পি পটি ক্লিন করবা তখন আনা হবে। আমি ওদের আলাদা করে যত্ন করার সময় দিতে পারবো না। তাদের বাবার কথা, যে জিনিস পালতে মানুষের মতো সময় ও শ্রম দিতে হবে তাকে পোষা প্রাণী হিসেবে আনা যাবে না। এই মুহূর্তে তিনজনের পিছনে সময় ও শ্রম দিতে দিতে নিজেদের জন্য কিছুই থাকছে না। সেখানে আলাদা পোষা প্রাণী পালন করা একটু কষ্টসাধ্যই হবে।

আপাতত তাদের কিছুটা ঠান্ডা করার জন্য তিনটা মুরগির ছানা আনা হলো। মেয়ের আমার মাতৃত্বের ইনস্টিন্কট চাড়া দিয়ে উঠেছে। ফ্যানের নিচে থাকলে ওদের ঠান্ডা লেগে যাবে, লাইট জ্বালিয়ে রাখলে ঘুমাতে অসুবিধা হবে, হাতে নিয়ে আদর করলে ব্যথা পাবে, একটু পরপর ওদের খিদা লাগে , খাবার দিতে হবে। মানে কিছুক্ষণ পরপর গিয়ে ওদেরকে আদর করা লাগছে। নাওঈদ মামা ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর নুবাঈদ এদের চিপে চ্যাপ্টা বানাচ্ছে সুযোগ পেলেই!

গতকাল তাই আমার অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের বাবা আমাকে ইনবক্সে ছবি দিয়ে জানিয়েছে, আমি নানি হয়ে গেছি!!! আসলেই সেরকম একটা উৎসব অবস্থা বাসায়।

নুবাঈদ লালটার নাম দিয়েছে অরেঞ্জ। নাওঈদ কালোটার নাম দিয়েছে পিটুনিয়া! নায়রাহ হলুদটার নাম দিয়েছে ফিওনা। ইদানিং তাই আমাদের কথাবার্তায় আরো তিনটি নাম যুক্ত হতে দেখলে দয়া করে কেউ আশ্চর্যান্বিত হবেন না।

বাচ্চাদের আপাতত কিছুদিনের জন্য ব্যস্ত রাখা যাবে, তাদের মধ্যে পিতা-মাতার কর্তব্যবোধ জাগিয়ে দিয়ে!!!