রোজা

রোজাদার বড় পুত্রসহ তাদের বাবা আজ বাসা থেকে দুপুরে বের হয়েছিল। জানিয়েছিল ইফতার আজ বাসায় করবে না। এই সুযোগে চিন্তা করলাম বাসায় আজ কোন কিছু তৈরি করব না। দই চিড়া বা দুধ চিড়া দিয়ে ইফতার চালিয়ে দিব। রোজাদার কন্যার জন্য কিছু করব কিনা ভাবছিলাম। কিন্তু তার ও খানা খাদ্যের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ দেখলাম না।

❤️
❤️

বিকালে নায়রাহ শরবত বানালো আর আমি চিড়া রেডি করলাম। মনে মনে ভাবছিলাম কিছু ফলমূল ধুয়ে কেটে রেডি করা উচিত। যেটা প্রতিদিন তাদের পিতা করে। কিছু ব্যাসিক ইফতারি সে গুছিয়ে দেয় প্রতিদিন, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আজ যেহেতু মানুষ কম তাই কিছুই করবো না এই নিয়তে বসেছিলাম। কিন্তু ইফতারের আগ মুহূর্তে দুইজন প্রতিবেশী অনেক অনেক ইফতার দিয়ে গেল।

মুহূর্তেই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে গেল, আবার। আমার ঘরে খাবার আছে, শুধুমাত্র বানাতে ইচ্ছা করেনি দেখে তৈরি করিনি। আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহ তবুও অনেক অনেক খাবার রিজিকে রেখেছেন। প্রাণ ভরে আবারো দোয়া করলাম যারা ইফতার দিয়েছে তাদের জন্য এবং আমাদের দেশে এবং পুরো বিশ্বের যত রোজাদার অভুক্ত বান্দা আছে, আল্লাহ যাতে তাদের প্রত্যেকের পর্যাপ্ত পরিমাণ রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন। তাদের জুলুম অত্যাচার থেকে যাতে রক্ষা করেন, আমাদের ঈমান যাতে আরো বাড়িয়ে দেন। আমাদের যাতে দুনিয়া ও আখিরাতে বিজয় দান করেন।

সারপ্রাইজিংলি ইফতারের একদম আগ মুহূর্তে বড় পুত্রসহ তার বাবা বক্স ভর্তি খাবার নিয়ে ইফতার করতে বাসায় চলে আসলো। এতো খাবার দেখে আজকে আর রান্না করতে গেলাম না । ভাবছি, রাতের খাবার পর্ব শেষে ছানাদের বাবাকে রান্নাঘরে পাঠিয়ে দিবো….

কারণ, আমার অনেক কাজ…..