আমার একজন স্টুডেন্টের অভিভাবকের সাথে কথা বলছিলাম বেশ অনেকক্ষণ ধরে। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথার ফাঁকে ফাঁকে তিনি তার নিজের জীবনের নানা কষ্টের কথা একনাগারে বলে ফেললেন। আমি খুব ভালো মানের শ্রোতা হওয়াতে ভদ্রমহিলা এক নিঃশ্বাসে তার প্যাথেটিক সংসারের (তিনি আমাকে কারেকশন করে বললেন, তার সংসার না, তিনি করেছেন শঙ-ষাড়!) কথা আমার সাথে শেয়ার করলেন।
৩২ বছরের সংসার, শুধুমাত্র বাচ্চা-কাচ্চাদের ভবিষ্যৎ এবং মান সম্মান ইজ্জতের (তিনি জাস্ট এই লাইনটাই বলেছিলেন) কথা চিন্তা করে ঐ লোকের(আমেরিকা প্রবাসী জামাই, যে চেষ্টা করলে তার কাছে বউ বাচ্চা নিতে পারতো। কিন্তু নানাভাবে এ বিষয়টা বছর পর বছর ধরে এড়িয়ে যাচ্ছে) সাথে তিনি এরকম প্যাথেটিক জীবন কাটিয়ে যাচ্ছেন!! এই বয়সে সেপারেশনেও যেতে পারছেন না কারণ ছেলেমেয়েদের এখন বিয়ে শাদীর সময় হয়ে এসেছে….আমার এত কষ্ট লাগছিল, এত কষ্ট লাগছিল শুনে….. মনে হচ্ছিল আমার যদি হাতে কোন ক্ষমতা থাকতো তার কষ্ট কমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতাম।
আমি শুধু তার জন্য এবং তার সন্তানদের জন্য দোয়া করেছি এবং করব বলে জানালাম…..
মানুষের দুঃখ কষ্ট শুনে মন খারাপ হয়…. এ সময় ইস্তেগফার পড়ি এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
এদিকে আমার ছোট ভাইটা হাসপাতালে ভর্তি। আম্মু দৌড়াদৌড়ি করছে। অন্য শহরে থাকার বদৌলতে কিছুই করতে পারি না তাদের জন্য। আব্বু যখন হাসপাতালে তখনও যেতে পারি নাই।…..
দূর থেকে তাই টেনশন করি আর দোয়া করি।
নিজের টেনশনের সাথে অন্য মানুষজনের মন খারাপ ও আমার মাঝে সংক্রমিত হলো…