সলিড টিপস:৫


বাচ্চাদের সলিড খাবার শুরু করার সময় আমরা দেখি তারা খুব কম খেতে চায় । বয়সের সাথে সাথে আস্তে আস্তে তাদের খাদ্য গ্রহণের মাত্রা বাড়ে। কিন্তু অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা সলিড খাবার পছন্দ করে না , খেতে চায় না বা খেলেও খুবই কম খায়।

সে ক্ষেত্রে যেসব বাচ্চা কম খায় তাদের জন্য খাবার খুব অল্প পরিমাণে নিয়ে একটু একটু করে কিছুক্ষণ পরপর খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। দেখা যায় অনেক সময় তাদের জন্য আমরা যে পরিমাণ খাবারটুকু নিয়েছি তা প্রায় খেয়ে শেষ করেছে । বাটিতে হয়তো দুই বা চার চামচ রয়ে গেছে । বাচ্চাটি ওই মুহূর্তে আর খেতে চাইছে না । কিন্তু মায়ের তো মন মানেনা। মা তখন আরেকটু জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে সবটুকু খাবার। ফলাফলে দেখা যায় বাচ্চাটি বমি করে যা খেয়েছিল পুরোটাই বের করে ফেলে।
মা হিসেবে এই সময়টুকু খুব অসহায় লাগে। এইটা মোটামুটি কমবেশি সব মায়েদেরই কমন একটি অভিজ্ঞতা । তাই আমরা যদি বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় এই ব্যাপারটা একটু খেয়াল করি যে, ওরা অল্প করে খেয়েছে এরপরে আর খেতে চাইছে না, বারবার মুখ সরিয়ে নিচ্ছে বা মুখ থেকে খাবার বের করে দিচ্ছে। ওই সময়টুকু আমাদের জোর করা উচিত না। জোর করে খাবার খেতে দিলে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বমি করে ফেলে।

তবে অন্যরকম বাচ্চাও আছে যাদেরকে কোনোভাবেই খাবার খাওয়ানো যায় না। আমার বড় ছেলেটি এমন ছিল । দেখা যেতো ওকে আমরা কোনোভাবেই খাবার মুখে দিয়ে দিতে পারতাম না। সে বমি করার চেষ্টা করত, থু দিয়ে ফেলে দিত। ফলাফলে আমরা পরে যেটা করতাম , ওর হাত পা চেপে ধরে অল্প অল্প করে মুখে খাবার ঢেলে দিতাম, একদম লিকুইড করে। যাতে সেটা গলা দিয়ে থেকে নেমে যায় । এখন ওর বয়স চার বছর। ওর খাদ্য গ্রহণের মাত্রা এখনো সামান্য। তার মানে সে ন্যাচারালি খাদ্য কম গ্রহণ করবে ,তাকে আমরা যতই জোর করি না কেন! সে পছন্দ করে খুব অল্প খাবার খায়। তবে আলহামদুলিল্লাহ সে সুস্থ আছে।

একেক বাচ্চা একেক রকম । তাই মায়েদের উচিত বাচ্চাদের ধরন বুঝে তাদের খাওয়ানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া।