স্বপ্ন পূরণ


এক নারীর খুব হজে যাবার ইচ্ছা। কিন্তু তার আর্থিক সামর্থ্য নেই বিধায় আর যাওয়া হয় না। কিন্তু আল্লাহ তার অন্তরের খবর জানেন।

ইরা খুব চেষ্টা করে হালাল-হারাম মেনে চলার জন্য। তাই বিয়ে করার সময় যখন একজন ব্যাংকার পাত্রের প্রস্তাব আসে, তখন সে শর্ত জুড়ে দিলো যদি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেয় তবে চিন্তা ভাবনা করে দেখা যাবে। পাত্র যেহেতু দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করছে এবং সেও এমন কাউকেই জীবন সাথী হিসেবে খুঁজছিল যে হালাল হারাম মেনে চলার জন্য প্রেরণা যোগাবে, যাতে বর্তমান যুগে সহজে ফিতনায় পড়তে না হয়। তাই পাত্র ও খুব সহজে চাকরি ছাড়তে রাজি হয়ে গেল । শুধুমাত্র আল্লাহর খুশির জন্য , হালাল হারাম বজায় রাখার জন্য, অনেক টাকার ব্যাংকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তারা তাদের নতুন জীবন শুরু করল।
আর্থিক দৈন্যতা দিয়ে ভরা তাদের জীবন, কিন্তু সেখানে প্রশান্তির কোন অভাব ছিল না। যেহেতু তারা বিয়ের পর কোথাও বেড়াতে যায়নি, ইরা মনে মনে স্বপ্ন দেখতে লাগল, যখনই সামর্থ্য হবে তারা আল্লাহর ঘর একসাথে দেখতে যাবে। বিয়েতে ইরা মোহরানার পুরো টাকাটাই নগদে পেয়েছিল এবং আত্মীয়-স্বজন থেকেও বেশ কিছু নগদ টাকা উপহার হিসেবে পেয়েছিল। সংসারের সাজাতে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে না দিয়ে সে একটু একটু করে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য টাকা জমানো শুরু করল। তাদের হালাল রিযিক বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে লাগলো।
অন্যদিকে ইরার স্বামী তার ব্যবসায়িক পার্টনারের ব্যক্তিগত এক উপকার করায়, ভদ্রলোক ব্যাপক উপহার দিতে চাইলেন। কিন্তু ইরার স্বামী তা ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তাই সেই পার্টনার তার অন্য ব্যবসা, হাজ্ব এজেন্সি থেকে ইরার স্বামীর জন্য ,হাজ্বের টিকিট উপহার দেয়।
ইরার মনে এখন একটাই আকুতি, কখন দেখতে যাবে আল্লাহর ঘর !! কখন কাবার কালো গিলাফ দেখে দু’চোখ ধন্য করবে। তার স্বপ্নপূরণের প্রান্তে দাঁড়িয়ে সে আকুল হয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাচ্ছে।