![](https://i0.wp.com/ishrat.xyz/wp-content/uploads/2021/05/FB_IMG_1621534736062.jpg?resize=720%2C540&ssl=1)
![](file:///storage/emulated/0/DCIM/Facebook/FB_IMG_1621534742207.jpg)
(আমার ছোট ছানাটা প্রায় প্রতি রাতে আমাকে জাগিয়ে রাখে। সারাদিন ঢুলু ঢুলু চোখে কাজকর্ম করতে করতে ডাইরিটি শেষ করতে দেরি হয়ে গেল!)
চতুর্থ দিন
জানুয়ারি ২,২০২০।
সকালে ডিউটি ডাক্তার দেখতে আসলো। একই প্রশ্ন করল, কেন ৩৭ সপ্তাহে সিজার করেছে??!!!!
যাবার সময় বলে গেল যাতে জন্মবিরতিকরন স্থায়ী কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করি!!
আমি ইমপ্ল্যান্ট পরব বললাম। একটু পর এক ডাক্তার একজন ইন্টার্ন ডাক্তার কে নিয়ে আসলো। ইমপ্ল্যান্ট পরানোর জিনিসপত্র নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কেন লাইগেশন করাচ্ছি না আমি? বললাম ,আমি স্থায়ীভাবে আমার কোন অর্গান কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছি না । এটা শরীয়ত সম্মত না। আর জীবন মরন সমস্যা ও নাই। তাই আমি ইমপ্ল্যান্ট করাবো। যাইহোক আমাকে যখন ইমপ্ল্যান্ট ইনজেকশন পুশ করার চেষ্টা করলো এবং ওই সময় ডান হাতের বাহুতে মোটা শুই ঢুকাচ্ছিল। আমি যখন চিৎকার করে উঠলাম , তখন ডাক্তার সেটা বের করে ফেলল । বলল , লোকাল এনেস্থেসিয়া দেয়া লাগবে নতুবা ব্যথা পাবেন । যেটা আমি চিৎকার করার আগে তাদের মনে ছিল না,,!!
এরপর ব্যান্ডেজ করার সময় এত টাইট করে বেঁধেছিল যে আমার ঐ জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। সেদিনই শেষ ইঞ্জেকশন টি ক্যানুলার মধ্য দিয়ে দেয় সকালবেলা। এরপর থেকে ক্যানুলা খোলার জন্য বারবার বলেছি। ব্যথা পাচ্ছিলাম তাই। ডাক্তার বলেছে নার্স করে দেবে। নার্স বলেছে যাবার আগে খুলে দেবে!
শেষ পর্যন্ত পরদিন বিকালে যাবার আগ মুহূর্তে খুলে দেয় । খামাখা এটা পরেছিলাম আর ব্যথা পাচ্ছিলাম!
ডাক্তারদেরকে বলেছিলাম যাতে আমাকে রিলিজ দিয়ে দেয়। পরে আমাকে বলেছিল ব্যান্ডেজ খুলে দিলে তারপর রিলিজ দিবে। সেটা পরের দিন করবে ।
সেদিন দুপুরের খাবারের মধ্যে একটি ফ্রাইড পোকা পেয়েছিলাম ! আমার খাবারের বারোটা বেজে গিয়েছিল!
![](https://i0.wp.com/ishrat.xyz/wp-content/uploads/2021/05/FB_IMG_1621534746627.jpg?resize=540%2C960&ssl=1)