গোলাপ ফুল পিঠা

সকাল দুপুরের খাবারের পর বিকেলের নাস্তা একটি অপরিহার্য খাবারের অংশ। আমার বাচ্চারা অনেক সময় রাতের খাবার ভালোভাবে খায় না। সে ক্ষেত্রে বিকালের নাস্তা সাধারণত একটু ভারী করে করার চেষ্টা করি। বিকালের নাস্তার মেনু একই ধরনের খাবার ঘুরেফিরে থাকে। মাঝেমাঝে নাস্তা বানাতে ইচ্ছে না করলে শর্টকাট মেনু দুধ-করণফ্লেক্সে চলে যাই। নাস্তার এত বৈচিত্র দেখে সাধারণ খাবার দাবার এখন আর বাচ্চাদের চোখে লাগে না। কোনো এক দিন নাস্তা বানাতে ইচ্ছে করলো না , বাচ্চাদের হাতে বিস্কুটের প্যাকেট ধরিয়ে দিলাম। দুধ বিস্কুট খাবে নাস্তা শেষ। দেখা গেল বিস্কুট খাওয়া শেষ করে নায়রাহ বলছে ,এবার নাস্তা দাও 梁
মাঝে মাঝে নিজের ও  ইচ্ছা করে একটু ভিন্নধর্মী নাস্তা খেতে। কিন্তু তখন হয়ত এনার্জি থাকে না অথবা সময় থাকেনা ।
আজ নাস্তা বানানোর মুড ছিল, তাই গোলাপ ফুল পিঠা বানিয়ে ফেললাম।
আম্মুকে দেখতাম স্পেশাল মেহমান আসলে এই পিঠা বানাতে। এখনতো আর স্পেশাল মেহমান আসার কোন সম্ভাবনা নাই । তাই একটা উপলক্ষ ধরে বানিয়ে ফেললাম। রিওয়ারড মেকানিজম।
(নায়রাহ প্রায় ৪ বছর বয়সে ডায়াপার ছেড়েছে। কিন্তু ৫ বছর বয়সে ও বিছানা ভেজায়। গত কয়েকদিন ধরে আর এ কাজ করছে না। তাই ভাবলাম, পুরষ্কার দেই।)

পিঠাটি বেশ কষ্টকর বানানো। অনেক সময় লাগে। আমার ২ ঘন্টা লেগেছে।

নাস্তা খাওয়া শেষে অবশিষ্ট

Posted

in

by

Tags: