সকালের নাস্তার দৌড়াদৌড়ি কমাতে আগের রাতে দু’তিন দিনের রুটি পরোটা একসাথে বানিয়ে ফ্রোজেন করে রাখি। ছোট্ট ছানাটা সারাদিন পিছে আঠার মতো লেগে থাকে। তাই রান্নাঘরের কাজ যথেষ্ট সংক্ষেপে করার চেষ্টা করি।😔
রুটি বানানো সংক্ষেপে করার জন্য গত সাড়ে চার বছর আগে থেকে রুটি মেকারটা ব্যবহার করছি। মূলত সাহায্যকারী মেয়েদের রুটি বানাতে যাতে কম সময় লাগে সে জন্যই কিনেছিলাম। এখন যেহেতু নিজেকেই বানানো লাগে তাই রুটি মেকার টা ব্যবহার করতেই হয়।
রুটি বানানোর সময়, নুবাইদ ভদ্রলোকের মত হাত ঢুকায় দেয়, রুটি ধরে টান দেয়, স্ক্রু ঘুরাতে থাকে , ফিল্টারের পানি ছেড়ে দেয়, পা চেপে ধরে বসে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। ছোট বাচ্চাদের রান্নাঘর এত ভালো লাগে কেন? 🤔🤔
কখনো বটি নিয়ে কাটাকাটি করছি , হঠাৎ দেখি পিছনে কেউ একজন গলা জড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পিঠের উপর। চুলায় তরকারি নাড়ছি , পায়ের নিচে থেকে হামাগুড়ি দিয়ে এসে কেউ একজন চুলার নব ঘোরানো শুরু করে। নিচে রাখা হাড়ি পাতিল টানাটানি করে। তরকারির পাতিল উল্টে ফেলে দেয়। 😭😭
ওয়ার্নিং দিলাম আর ক বছর যাক। তিন ভাইবোন মিলে রান্না বান্না সব করা লাগবে। তখন আমি আর রান্নাঘরে ঢুকবো না।
নিজেকে নিজের সান্ত্বনা দেয়া। 🙄
আমার বাবুই পাখির দুষ্টুমি
by
Tags: