কন্যার প্রথম রোজা

নায়রাহ তার ছয় বছর তিন মাস বয়সে প্রথম রোজা রেখেছে গতকাল আলহামদুলিল্লাহ। দুইদিন আগেও একবার চেষ্টা করেছিল, সেদিন আধাবেলা রাখতে পেরেছে।
নাওঈদ যেহেতু আধাবেলার বেশি রাখতে পারেনা, আর বোন পুরোটা রেখেছে দেখে সে আবার গাল ফুলিয়ে রেখেছে। কেননা তার আপিকে ক্রমাগত পেম্পারিং করা চলছে। তার পছন্দের খাবার ইফতারিতে বানানো হয়েছিল। ইফতার শেষে নিজ হাতে চকলেট ব্যাগ থেকে পছন্দ করে চকলেট খেতে পেরেছিল। সে রোজা রাখতে পেরেছে তাই বিভিন্ন জায়গায় জানান দিচ্ছিলাম। যথারীতি নানুমনির প্রশংসায় সে ভেসে যাচ্ছিল। আজও তাই সেহরি খেতে নিজে নিজেই উঠে গেল আলহামদুলিল্লাহ।
রোজা রাখার প্রতি তাদের এই এক্সাইটমেন্ট দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমি আর ভাইয়া পাল্লা দিয়ে রোজা রাখতাম। সাথে ছিল রিদমা, মুনিম, রুমি আপু, সুমি সহ আরো অনেকে। একসাথে একদল বাচ্চা পাল্লা দিতাম রোজা কে বেশি রেখেছে, সেটা নিয়ে। এমনকি সেহেরিতে আম্মু ডেকে না দিলে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যেত আমাদের। আমাদের চাইতে বাকিরা রোজা বেশি রেখে ফেলবে এই দুঃখে।
একই বিষয়টা আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। বেশ মজা লাগছে ছোটবেলার সাথে মিলে যাচ্ছে দেখে।

ভাইয়া, Ahad তোমার মনে আছে?কে কয়টা রোজা রাখতে পারবে- আমরা প্রতিযোগিতা করতাম? আমাদের ছানাপোনা আরেকটু বড় হলে ওদের সাথে রোজার এ কম্পেটিশন টা দেওয়াবো, কেমন?
নাওঈদ আবদুল্লাহ আর আনিফা জামান
নুবাঈদ আবদুল্লাহ আর আরহাম আবদুল্লাহ।
নায়রাহ বড় আপি হয়ে বিচারের দায়িত্বে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
😊😊😊


Posted

in

by

Tags: