সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন নিয়ে পড়তে বসার সময় হয় না। নায়রাহ মোটামুটি একা একাই টুকটুক করে স্কুলে গিয়ে অক্ষর শিখে ফেলেছিল। নাওঈদের স্কুল জীবনের শুরুতেই করোনার জন্য বন্ধ হওয়ায় স্কুলে গিয়ে শেখাটা তার আর হয়ে ওঠেনি।
এদিকে নুবাঈদ এর যন্ত্রনায় ওদের কে নিয়ে পড়তে বসার সুযোগ খুব কমই হয়ে উঠে। দেখা যায় পড়তে বসলেই সে ওদের বই ছিড়ে ফেলে, পেন্সিল নিয়ে টানাটানি করে, কোলে ওঠার জন্য কাঁদে , ঠুস ঠাস করে পড়ে যায় , আরো নানা কিছু।
অন্যদিকে আমারও অনেক ব্যস্ততা থাকে, ক্লান্তি থাকে। ফলাফলে নাওঈদের অক্ষর জ্ঞান খুব আস্তে আগাচ্ছে। মুখে বলে তো আর সবকিছু শেখানো যায় না। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে হাতে কলমে মায়েদের নিজেদেরই বসা লাগে। এছাড়া ওকে পড়ার কথা বললেই দেখি ওর ঘুম আসে , ক্লান্ত থাকে ইত্যাদি বলে খুব বেশি পড়তে চায়না। আমিও আর জোর করি না।
ভাইয়ের এই দুরবস্থা দেখে, বোনকে দেখলাম ভাইকে শেখানোর জন্য চেষ্টা করছে । তার নিজের মতো করে।🥰🥰
ছেলে আমার শিখুক বা না শিখুক, মেয়ে যে তার ছোট ভাইকে শেখানোর জন্য একটুখানি চেষ্টা করেছে এতেই আমি খুশি। সারাদিন ঝগড়াঝাটি, মারামারি চলতে থাকে , পাশাপাশি যদি এভাবে ভালোবাসা, সহযোগিতা , সহমর্মিতা থাকে তাহলে ওরা এমনই থাকুক সবসময়।❤️❤️
বারাকাল্লাহু ফিহুমা।
#আমারটিয়াময়নাবাবুইপাখি
হোমস্কুলিং: ভাই-বোন
by
Tags: