মোটিভেশনাল স্পীকার

বড় পুত্রের সামনের মাসে ইনশাল্লাহ পাচ বছর হবে। স্কুলে ভর্তি হয়ে আছে। অনলাইন ক্লাসে কোন মজা পায় না, তাই ক্লাস করতে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না ‌ আসলে মজা পায় না বলা ঠিক না, মোবাইল স্ক্রিনে এত ছোট ছোট বোর্ড , লিখা , মিস দের দেখা , বন্ধুদের দেখা- এগুলো আসলে খুব একটা বুঝতে পারেনা।

লেখালেখি করতে কোন রকম আগ্রহ পায় না । সপ্তাহে বা পনের দিনে একবার ধরে বসালে দুচার লাইন লিখে। পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগের অভাবে আমিও নিয়মিত দেখাশোনা করতে পারিনা। চিন্তা করে দেখলাম প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট তাদের পেছনে সময় দেওয়া উচিত। সন্ধ্যা থেকে তাই তাদের নিয়ে বসে আছি। দেখা গেল, পড়ার টেবিলে আমি একাই বসে আছি। তারা ভাই বোন একটু পর পর বিভিন্ন কাজে উঠে যায়।

শেষ পর্যন্ত মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়ার চেষ্টায় আছি।
মোটিভেশন: এশার আযান দিলো মাত্র। জামাত শুরু হয় আযান দেয়ার প্রায় বিশ পঁচিশ মিনিট পরে। পুত্র আমার সাথে সাথে দরজা খুলে বেরিয়ে যাচ্ছে। দৌড় দিয়ে তাকে ধরলাম। লিখা দিলাম, এগুলো লিখে শেষ করলে একটু পরে আমি পাঠিয়ে দিব মসজিদে-কথা দিলাম।(বাসার নিচেই মসজিদ। এতো দিন বাবা/নানার সাথেই গিয়েছে। আজ একা যেতে হচ্ছে।) অবশেষে নাওঈদ লিখতে বসল।


Posted

in

by

Tags: