আমার পাখ পাখালিরা

গত জুলাই মাস থেকে ঠিকঠাক মতো রাতে ঘুমাতে পারিনা। মাথার মধ্যে প্রচুর রাগ, ক্ষোভ, ভয়, কান্না, দুঃখ, ভাংচুর , গোলাগুলি, রক্ত,আশা, হতাশা এগুলো ঘুরপাক খায়। এখনো প্রতিদিন বিগত সরকারের নানা ধরনের দুর্নীতি, অন্যায়, অনাচারের ঘটনা জানতে পারি তখন মন মেজাজ ভয়াবহ রকমের খারাপ হয়ে যায়।

♥️

এই বিক্ষিপ্ত মানসিক অবস্থায় একটু ভালো লাগা বয়ে নিয়ে আসে আমার সাতটা মোরগ মুরগি । সাথে একটা পাখির বাচ্চা।

জুলাই মাসে ১৬ তারিখ শেষ কর্ম দিবস ছিল। তখন বাসায় ফেরার পথে ডায়না আর ডোরেমনকে কিনে নিয়ে যাই। তার কিছুদিন আগে ইয়েলো,কোকো আর রেমবো, জাম্বোকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর কিং কাজল তো আগে থেকেই ছিল।

এই সাতজনের মধ্যে কাজল হলো হাসিনার মত। ওর সামনে ছোটগুলো পড়লে শুধু ঠোকর দেয়, ওদের পালক ছিঁড়ে ফেলে, কামড়ায়। এজন্য আমরা কাজল হাসিনাকে খাঁচাতেই বেশিরভাগ সময় আটকে রাখি। আর মাঝে মাঝে কাজলকে ছাড়লে বাকি ছয় জনকে আটকে রাখি।

কয়েকদিন আগে আমাদের রেম্বো বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিল। পুত্র কন্যা নিচে গিয়ে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি।

আসার পথে দেখে একটা পাখির বাচ্চা পানিতে পড়ে আছে। পরম যত্নে তারা সেটাকে বাসায় নিয়ে এসেছে এবং এখন লালন পালন করছে। খুব সম্ভবত কোন কাক বাচ্চাটাকে তার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে গিয়েছিল। কেননা আশেপাশে কোন গাছ-গাছালি বা পাখির বাসা ছিল না।

এটা কি শালিক পাখির বাচ্চা?

বিকালের দিকে আমরা আমাদের রেম্বোকে ফিরে পেয়েছিলাম। গ্যারেজে একটা কারের পিছনে চিপায় চুপচাপ বসে ছিল!