আনন্দিত শৈশব

নানু বাড়ি বেড়াতে আসলে প্রতি বিকালে ছানাদের ছোটখাটো ট্যুর দেওয়া লাগে। এটাই প্রধান আকর্ষণ যে, নানা ভাইয়া, খাম্মি এবং ছোট মামা প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বেড়াতে নিয়ে যায়। আজকের ট্যুর ছিল শিশু পার্ক।

কাজীর দেউড়ি শিশু পার্কে কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করে টিকেট এবং রাইড এর দাম বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে। চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন ছিল গোলাপি ফুলের বাগান আর দু একটা নতুন রাইড।

আমরা ঢুকার সময় প্রায় ২৫ জন ছিন্নমূল বাচ্চাদের একটা দল ঢুকেছে। পরে দেখলাম একটা পরিবার ওই বাচ্চাদের আজকে দিনের জন্য স্পন্সর করেছিল। বিষয়টা বেশ ভালো লাগছে। সেই বাচ্চাদের আনন্দ ছিল লক্ষ্য করার মতো। পার্কে আগত দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে ওই বাচ্চাদের আনন্দটাই দেখছিল।আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে কয়েকটা রাইড চড়ে বাসার দিকে ফিরতি পথ ধরলাম।

গেটের বাইরে খেলার দোকান। ছানাদের আবদার, খেলনা কিনবে। বড় দুইজনকে সাজেশন দেওয়া যায়। চয়েস করার ব্যাপারে প্রভাবিত করা যায়। পরে কিনে দিবো বোঝানো যায়। ছোট পুত্র মাশাল্লাহ। যেগুলো আমি দেখাই সেগুলো সে নিবে না। তাই কিছু না কিনে বের হয়ে যাচ্ছিলাম গেট দিয়ে। কেননা কিছু কিনে দিলেও সেগুলোর আয়ু বড়জোর কয়েক ঘন্টা থাকে। তার চিৎকারে পার্ক এরিয়া প্রকম্পিত হওয়ায় আবার ভিতরে ঢুকে তার পছন্দমত লাল গাড়ি কিনে দিলাম।বড় দুইজনই বা আর বাদ থাকবে কেন!! একজনকে কালো গাড়ি আর আরেকজনকে স্লাইম কিনে দিলাম। রাজত্ব সহ রাজ্য জয় করে এরপর তারা বাসায় ফিরলো।