পুত্র কন্যারা প্রায় মারামারি করে। কিল, চড় খামচি, লাথি চলতেই থাকে। নানাভাবে তাদের বোঝাতে থাকি, মারামারি করা যাবে না। কত উদাহরণ, কত মোটিভেশন…. কিছুই কাজ হয় না। তাদের সবকিছু একসাথে করা লাগে , একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচেনা । আবার পান থেকে চুল ঘষলেই ধুমধাম চলতে থাকে।
পুরস্কার , শাস্তি ইত্যাদি ব্যাপারগুলা বোঝানো শেষ। ফেরেশতা লিখে ফেলছে সবকিছু, পুরস্কার সব কমে যাচ্ছে। কিন্তু এসব মোটিভেশন বেশিক্ষণ কাজ করে না। বড় পুত্রের মন মত কাজ না হলে হাত চালাতে দেরি করে না বোনের সাথে। ছোট ভাই ও একই রকম।
বড় বোনের গায়ে হাত তোলা যাবে না এটা কোনভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না। বলেছি কেউ অপরাধ করলে মা-বাবাকে জানাবে। আমরা এরপর বিচার করব। বিচারে সাধারণত দুই পক্ষ খুব একটা খুশি হয় না। কান ধরে উঠবস করা বা মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলা পর্যন্তই ছেড়ে দেই।
বিচার নিয়ে তাদের অতৃপ্তি দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ল। ভাইয়া পিটুনি দিলে আম্মুকে বলতাম, যেহেতু আমি ভদ্র!! পাল্টা পিটুনি কমই দিয়েছি। বড় জোর খামচি পর্যন্ত গিয়েছি। আশা করতাম আমি যেহেতু পিটুনি দিতে পারবো না ,পাল্টা পিটুনি টা আম্মু ভাইয়াকে দিবে। সেটা যেহেতু হত না , বিচারে কখনোই খুব একটা সন্তুষ্ট হতাম না। একই জিনিস পুত্র কন্যার মধ্যেও দেখতে পাচ্ছি।
আমি ছোট বোন হওয়াতে ভাইয়ার ধুমধাম পিটুনি খুব বেশি অপরাধের পর্যায়ে পড়েনি কখনো। কিন্তু এখন আমার কন্যা বড় হওয়াতে ছোট ভাইদের পিটুনি বড় মাপের অপরাধ হিসেবে আমরা গণ্য করছি।
কোনভাবে কাজ না হওয়াতে তাদের বাবা শেষ পর্যন্ত অন্য থিউরিতে গেল। বলল, ছেলেরা কখনো মেয়েদের গায়ে হাত দিতে পারবে না কোন ভাবে। শুধুমাত্র নিজের বউকে ছাড়া ছেলেরা আর কোন মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবে না। আমি কখনো বিয়ের আগে মেয়েদের সাথে কথা বলি নাই। বিয়ের আগেও তোমার মাকে চিনতাম, কিন্তু কথা বলিনি। বিয়ের পর শুধু তোমার মার সাথে!!!
পুত্রের জিজ্ঞাসা কখন থেকে মার সাথে কথা বলা শুরু করেছে , কি বলেছো, কেন বলেছ কিভাবে বলেছ ইত্যাদি ইত্যাদি।
জ্ঞান বিতরনতো অন্য খাতে চলে গেল পুরাই….